পিরোজপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে, যার ফলে উভয়পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন— জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মুসাব্বির মাহমুদ সানি (২৯) এবং তাঁর ভাই সানজিদ (১৯), পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য শাহনেওয়াজ অভি (২৬) ও মো. মুঈন উদ্দিন (২৭)। ঘটনাটি হামলা-প্রতিহামলার আকার ধারণ করেছে।
সানি অভিযোগ করেছেন, তিনি তারাবির নামাজ শেষে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার সময় ৫-৭ জন হামলাকারী লোহার পাইপ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে। তাঁকে রক্ষা করতে গেলে হামলাকারীরা সানির ভাই সানজিদকেও মারধর করে। হামলায় সানির পিঠ ও হাত, এবং সানজিদের গলা ও পায়ে আঘাত লাগে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, তারা সাধারণত তারাবির নামাজ শেষে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে চা খেতে আসেন, কিন্তু আজ সানি হঠাৎ এসে অভিকে বাজে কথা বলেন এবং কমিটি আনল না এমন মন্তব্য করেন। এরপরই উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. রাজীব পাইক জানিয়েছেন, সানির শরীরে আঘাতের পরিমাণ বেশি, এবং এক্সরে রিপোর্টের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তাঁর কোথাও ভেঙেছে কিনা।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস সোবাহান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।